নাওয়ার পেইন রিলিফ অয়েল রয়েছে ১৫ টিরও বেশি প্রাক্রিতিক উপাদান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
এলাচ তেল বাতের ব্যথায় খুব কার্যকারী ।তাছাড়া এটি মাথাব্যথা থেকেও তাৎক্ষণিক মুক্তি দেয়।
মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের প্রতিষেধক কালোজিরা। নিয়মিত এই কালোজিরার তেল মালিশে দীর্ঘদিনের ব্যথাও সহজে নিরাময় হয়।
লেমন গ্রাস তেল দিয়ে মালিশের সাথে সাথে আর্থারাইটিসের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এমনকি মচকানির ব্যথাও দ্রুত নিরাময় হয়।
পিপারমিন্ট অয়েলে মেন্থল থাকে। মেন্থল প্রদাহ সৃষ্টিকারী প্রোটিনগুলিকে বাধা দেয়। ফলে খুব দ্রুত ব্যথা নিরাময় করে।
ক্লোভ অয়েল ব্যথা নিবারক ও জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে অলিয়োক্যান্থাল নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে । এটি ব্যথা কমায় এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
ব্যবহারের নিয়মঃ
প্রতিদিন ২ বার ৫-৭ ফোঁটা তেল ব্যথার স্থানে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। ভালো ফলাফলের জন্য ১০-১৫ দিন ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারের পর খুব দ্রুত ব্যথা কমিয়ে ব্যথা দূর করবে।
ব্যথার ঔষধ খাওয়ার সাইড ইফেক্টগুলো জানেন কি?
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ব্যথা নাশক ওষুধ গ্রহণ করলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কিডনি ফেলিওর-ও হতে পার।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্যথার ঔষধ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। যাঁরা এই ওষুধগুলি ব্যবহার করেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
পেইন কিলার বিশেষ করে প্যারাসিটামল লিভারের ক্ষতি করে। প্রতিনিয়ত পেইন কিলার খেলে লিভারের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।
মাত্রাতিরিক্ত ব্যথার ওষুধ ব্যবহার ঝুঁকি বাড়ে স্মৃতিভ্রংশের। মানসিক ভারসাম্য হারানোর প্রবল সম্ভাবনা থাকে। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে বাড়ায় আত্মহত্যার প্রবণতাও।
ব্যথা নাশক ওষুধ বা পেইন কিলার অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে পেটে ব্যথা, জ্বালা এমকী আলসারও হতে পারে।
পেইন কিলার রক্ত পাতলা করে যার ফলে অত্যধিক রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
তাই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি না করে নাওয়ার পেইন রিলিফ অয়েলটি ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারের পর খুব দ্রুত ব্যথা কমিয়ে ব্যথা দূর করবে এবং এটি নিয়মিত ২ বার ৫-৭ ফোঁটা করে ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদী জয়েন্টের ব্যথা,আর্থ্রাইটিসের ব্যথা,ঘাড়,হাটু বা পিঠের ব্যথা থেকে ১ মাসের মধ্যেই স্বস্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।